নয়াদিল্লি, ১৬ আগস্ট (হি.স.) : সেই আশঙ্কাটাই সত্যি হয়ে গেল। ভারতীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে (এআইএফএফ) নির্বাসিত করল ফিফা। ‘তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের’ কারণে এই শাস্তির কথা ঘোষণা করেছে ফিফা। এর ফলে অনূর্ধ্ব-১৭ মেয়েদের বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করতে পারবে না ভারত । আর যতক্ষণরা এই ব্যান উঠছে, ততদিন দেশের ফুটবল দল কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারবে না। এমনকি ফিফার অনুদানও আপাতত বাতিল হয়ে গেল। ফিফা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এখন এআইএফএফ-এর ক্ষমতায় রয়েছে কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স। এর বদলে যে দিন থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া কমিটি এআইএফএফ-এর দৈনন্দিন কাজকর্ম দেখতে শুরু করবে, সেদিন থেকে এই নির্বাসনের শাস্তি উঠে যাবে।’
আগামী ১১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর ভারতে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল হওয়ার কথা। তার মধ্যে পরিস্থিতি না বদলালে এই প্রতিযোগিতা ভারত থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। ফিফা বিবৃতিতে বলেছে, ‘নির্বাসনের অর্থ হল, ভারত অক্টোবরে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করতে পারবে না। এই প্রতিযোগিতা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে ফিফা চিন্তা-ভাবনা করছে।’ শেষে ফিফা লিখেছে, ভারতের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের সঙ্গে তারা সমানে যোগাযোগ রাখছে। তারা আশা করছে, এখনও ইতিবাচক সমাধান সম্ভব।
প্রসঙ্গত, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ফেডারেশনের সভাপতি পদে বসেছিলেন প্রফুল্ল পটেল। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই বছরের মে মাসে ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটিকে ভেঙে দেয়। ভারতীয় ফুটবলের দায়িত্ব তিন সদস্যের কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সকে দেয়। একই সঙ্গে বলা হয়, যত দ্রুত সম্ভব ফেডারেশনের নির্বাচন করতে হবে।
এর মধ্যে সিওএ আদালতে অভিযোগ করে, পটেল এখনও ফেডারেশনের কাজকর্মে পিছন থেকে হস্তক্ষেপ করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করে সিওএ। তখনই আদালতে জানানো হয়, ছোটদের বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করার কথা ভারতের। তার জন্য হাতে মাত্র দু’মাস সময় আছে। ফিফাও পরিষ্কার করে সিওএ-কে জানিয়ে দেয়, গণতান্ত্রিক ভাবে ফেডারেশনের নির্বাচন হলে তবেই ভারতকে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে দেওয়া সম্ভব হবে।
এদিকে, ভারতীয় ফুটবলকে সঙ্কট মুক্ত করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ‘তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের’ কারণে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থাকে (এআইএফএফ) নির্বাসিত করেছে ফিফা। এই সঙ্কট থেকে ভারতীয় ফুটবলকে মুক্ত করতেই সুপ্রিম কোর্টে দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার, ১৭ আগস্ট শুনানিতে রাজি হয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।