স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৯ মে : রাজ্যের গর্ব জিবি হাসপাতাল দিন দিন দুর্নাম কামিয়ে চলেছে। কখনো বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে, আবার কখনো ভুল চিকিৎসার কারণে জিবি হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে এবং বিভিন্ন সময় জিবি হাসপাতালে মধ্যে পানীয় জল ও ঔষধ মিলছে না বলে অভিযোগ উঠে। এই অভিযোগ গুলির ইস্যু করে রাস্তায় নামল সিপিআইএম। বৃহস্পতিবার সিপিআইএম উত্তর আগরতলা অঞ্চল কমিটির উদ্যোগে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়। ডেপুটেশনের আগে হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন দলের কর্মী সমর্থকরা। উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম নেতা অমল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতাল জিবি। এই হাসপাতালের মধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা বর্তমানে তলানিতে এসে পৌঁছেছে।
যারা বিশ্বমানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বলে বাজার গরম করছে, তাদের বিশ্বমানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দূরের কথা, পূর্বতন সরকারের সময় যে স্বাস্থ্য সুবিধারগুলি জিবি হাসপাতাল থেকে রোগীরা পেয়ে যেত সেটা পর্যন্ত এখন বন্ধ হয়ে গেছে। এই জিবি হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা বর্তমানে শোচনীয়। বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠে হাসপাতালে এসে রোগীরা ঔষধ পাচ্ছে না। সবচেয়ে উদ্বেগ জনক বিষয় হলো অস্ত্রপচারের সুতা পর্যন্ত রোগীর পরিবারকে ক্রয় করে দিতে হচ্ছে। অপরদিকে শৌচাগার গুলির অবস্থা অত্যন্ত নোংরা, জল নেই। এক প্রকার ভারে অভূতপূর্ব অবস্থা তৈরি হয়ে আছে এই জিবি হাসপাতালে। আরো বলেন গত সাত থেকে আট বছর ধরে প্যারামেডিকেলের স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স এবং কোন চিকিৎসক নিয়োগ হচ্ছে না সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। অথচ এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ক্ষমতায় এসে বছরে ৫০ হাজার চাকরি দেবে। তিনি আরো অভিযোগ তুলে বলেন বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা দিয়ে হাসপাতাল পরিচালনা করার চেষ্টা করছে সরকার। যার কারনে জিবি হাসপাতালের মধ্যে ডাক্তারের জায়গায় বসে আছে সুইপার। এই নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আজকে সিপিআইএম উত্তর আগরতলা অঞ্চল কমিটি ডেপুটেশন দেন মেডিকেল সুপারের কাছে। তারপরও যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করা হবে। তিনি সরকারের বিরুদ্ধে আরো বলেন, বর্তমান সরকার একটা প্রচারের সরকার। এই সরকার মানুষের জন্য কোন কিছুই করছে না। এক ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখেছে। এই অবস্থা কাটাতে রাস্তায় নেমেছে বলে জানান তিনি।
