স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ সেপ্টেম্বর : ২৬-সেপ্টেম্বর ভারতের নবজাগরণের পথিকৃৎ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৫-তম জন্মদিবস। ‘অল ইন্ডিয়া সেভ এডুকেশন কমিটি’ এই দিনটি ‘শিক্ষা বাঁচাও দিবস’ হিসাবে পালন করল। বৃহস্পতিবার আগরতলা উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের সামনে দিনটি যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করা হয়।
প্রথমে বিদ্যাসাগরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। আবৃত্তি ও গান পরিবেশনের পর বিদ্যাসাগরের জীবনের বিভিন্ন দিক অর্থাৎ বিশেষ করে তাঁর শিক্ষা বিষয়ক চিন্তা এবং শিক্ষার বিস্তার নিয়ে আলোচনা করা হয়। সহ-সভাপতি অরুন্ধতী ভৌমিক বলেন বিদ্যাসাগর ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে সংস্কৃতের পন্ডিত ছিলেন। তিনি মার্শাল সাহেবের পরামর্শে ২২-বছর বয়সে ইংরেজি শিখতে শুরু করেন। ইংরেজি শিখে তিনি পাশ্চাত্যের জ্ঞান ভান্ডারের সংস্পর্শে আসেন।
তিনি উপলব্ধি করেন এদেশে ধর্মনিরপেক্ষ আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা প্রচলনের জন্য ইংরেজিতে অঙ্ক, ভূগোল, জ্যামিতি, সাহিত্য, ন্যাচারাল ফিলজফি, মরাল ফিলজফি, ফিজিওলজি, পলিটিকাল ইকনমি পড়ানো দরকার এবং নারী শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের আলোকে নারীদের আত্মসম্ভ্রম, অধিকার ও স্বাধীনতা বোধ আনতে হবে। তিনি বলেছেন, ‘এমন শিক্ষক চাই যারা বাংলা ভাষা জানে, ইংরেজি ভাষা জানে, আর ধর্মীয় সংস্কার মুক্ত’। কিন্তু স্বাধীন দেশের সরকার আজ বিদ্যাসাগরের ও পরবর্তী রেঁনেসা পুরুষদের চিন্তার বিরুদ্ধে গিয়ে বিজ্ঞান বিরোধী শিক্ষা বিস্তারের প্রয়াস চালাচ্ছে। শুধু তাই নয় গণশিক্ষা প্রসারের পরিবর্তে শিক্ষাকে বাণিজ্যিক পণ্যে পরিণত করছে। নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ বিজ্ঞান ভিত্তিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শিক্ষা বিরোধী নিল নক্সা। ত্রিপুরা রাজ্যেও কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির পরিপূরক পদক্ষেপ ‘বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প’ বাতিল সহ জাতীয় শিক্ষা নীতি-২০২০ বাতিলের দাবিতে শিক্ষা আন্দোলন গড়ে তুলতে বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে শপথ গ্রহণ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। একই সাথে এদিন এ আই ডি এস ও -র পক্ষ থেকে রাজধানীর বটতলা এলাকায় দিনটি যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করা হয়।