স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ সেপ্টেম্বর : সংবাদ সারা ভারত কৃষক সভা ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভিন্ন মহকুমা ও জেলার কিশোর আন্দোলনের নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি বন্যা পরিস্থিতিতে সেসব মহকুমা এবং জেলা স্তরের কৃষকরা কতটা সরকারি সহযোগিতা পেয়েছে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। কাজের কাছ থেকে জানা যায়, এ বন্যায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় নি প্রশাসন। এবং প্রশাসনের কোন লোককে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে দেখা যায়নি। পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় ছিল প্রশাসন।
তাই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে দাবি করা হয়েছে যাতে এই বন্যাকে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বিশেষ করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করার জন্য দাবি করা হয়েছে। একইভাবে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহাকে একটি চিঠি দেওয়া হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষক ভবনে সারা ভারত কৃষক সভা ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান সর্বভারতীয় কৃষক নেতা হান্নান মোল্লা। তিনি বলেন, সরকার এই বন্যা জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করতে চাইছে না। বিশেষ করে ত্রিপুরা সরকার এই বন্যা জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করতে চাইছে না।
তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করার পাশাপাশি সহযোগিতা দাবি করা হয়েছে। এ বন্যা পর সর্বদলীয় বৈঠকে সরকারের কাছে দাবি করা হয়েছিল যাতে মানুষকে সঠিকভাবে সহযোগিতা করা হয়। বিশেষ করে কৃষকদের পাশে যাতে দাঁড়ায় সরকার। কিন্তু সরকার যেহেতু কর্ণপাত করেনি তাই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করার। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশে এনডিএ সরকার চলছে। তারা গরিব মানুষের দুশমন। এ সরকারের আমলে সব অংশের মানুষের জীবন-বিপন্ন। ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের বদলা নিতে চাইছে সরকার। আগামী ২৬ নভেম্বর নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে জনম নিতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। ত্রিপুরাতেও এই আন্দোলন সংগঠিত করার জন্য দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য কমিটির সভাপতি অঘোর দেববর্মা, সম্পাদক পবিত্র কর সহ অন্যান্যরা।