স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ আগস্ট :
চিকিৎসার গাফিলতিতে জিবি হাসপাতালে আবারও রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে বুধবার ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। মৃত রোগীর নাম গীতা কর। বয়স ৪০। বাড়ি রাজধানীর দুর্গা চৌমুহনি সংলগ্ন ঋষি পাড়া এলাকায়। মৃত রোগীর পরিবারের অভিযোগ, গত কয়েকদিন আগে বুক ব্যথা নিয়ে গীতা করকে আইজিএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু আইজিএম হাসপাতালে ইসিজি পরীক্ষা করা সম্ভব না হওয়ায় রেফার করা হয়েছিল জিবি হাসপাতালে।
তারপর গত তিনদিন আগে জিবি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় গীতা করকে। ভর্তি রাখে চিকিৎসক। তারপর যথারীতি চিকিৎসা চলছিল। এরই মধ্যে বুধবার দুপুরে গীতা করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তখন রোগীর প্রয়োজনেরা চিকিৎসককে বহুবার ডাকলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে দেখতে আসেনি। পরে একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে পাঠিয়ে বলেন রোগীর বুকে খাবার আটকে আছে। নল দিয়ে খাবার গুলি বের করতে হবে। তারপর সেই স্বাস্থ্যকর্মী একটি নল নিয়ে এসে অক্সিজেন মাস্ক খুলে রোগীর নাক দিয়ে ঢোকায়। কিছুক্ষণ পর রোগীর নাক দিয়ে যখন প্রচন্ড রক্ত বের হয়ে আসছিল তখন নলটি আবার খুলে নেয়। তারপর ছটফট করে রোগীর মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনাটি স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকের গাফিলতিতে হয়েছে বলে দাবি রোগীর পরিবারের। তারা জানান, রোগী যখন ছটফট করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছিল তখন স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল আইসিওতে নিয়ে চিকিৎসা করার জন্য। কিন্তু আইসিউতে শয্যার অভাবে নেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় রোগীর। রোগীর পরিবার প্রশ্ন করেছে তারা কি মানুষের ডাক্তার নাকি গরুর ডাক্তার? এতটা বাজে পরিষেবা জিবি হাসপাতালে সেটা নিজের চোখে প্রত্যক্ষ না করলে কেউ বিশ্বাস করবে না। বুধবার সকালেও রোগী শয্যায় বসে বাড়ির লোকদের সাথে কথা বলেছে, কিন্তু এরই মধ্যে এই ঘটনা কোনোভাবেই মানতে পারছে না রোগীর পরিবার। এদিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, নল ঢোকানোর কারণে রোগীর মৃত্যু হয়নি। গলব্লাডার স্টোনের সমস্যা নিয়ে রোগীকে ভর্তি করানো হয়েছিল জিবি হাসপাতালে। রোগীর বিপি সমস্যা ছিল। যার ফলে ওষুধ দেওয়া যাচ্ছিল না রোগীকে। এর মধ্যে বুধবার সকাল থেকে রোগীর অবস্থা সংকটজনক ছিল। এরই মধ্যে স্টক করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন চিকিৎসক। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে জিবি হাসপাতালে। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। পুলিশ রোগীর পরিবারের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।