স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ অক্টোবর : আগামী ২৬ অক্টোবর তথা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে আগরতলা শহরে মায়ের গমন – ২০২৩ অর্থাৎ কার্নিভ্যাল। প্রতিবছর কার্নিভ্যাল ঘিরে আগরতলা শহর নাকাবন্দী হয়ে পড়ে। মুখ থুবড়ে পড়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা। অলি গলি সর্বত্রে সাধারণ পথচারীরা ভোগান্তির শিকার হয়। ১০ মিনিটে রাস্তা দিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ঘন্টাখানেক। এবার কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে দশমীর দুদিন পর। সিংহভাগ মানুষের মধ্যে কার্নিভ্যাল ঘিরে ইতিমধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
কার্নিভ্যালের অনুষ্ঠান পর্ব শুরু হবে রাজধানীর সিটি সেন্টার সংলগ্ন এলাকা থেকে। বিকাল থেকেই রাজ্যের প্রধান লাইফ লাইনের দুপাশে দাঁড়িয়ে মাকে বিদায় জানাবে হাজার হাজার দর্শনার্থী। শহর যাতে নাকাবন্দি না হয় তার জন্য ইতিমধ্যে একটি বিবৃতি জারি করেছে ট্রাফিক প্রশাসন। কার্নিভ্যালের জন্য বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে কোন কোন রাস্তা দিয়ে জরুরি পরিষেবার গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে এবং কোন রাস্তা গাড়ি পার্কিং করা যাবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এদিন দুপুর দুইটা থেকে কামান চৌমহনি থেকে দশমীঘাট পর্যন্ত যাত্রীবাহী এবং পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে। এবং নো এন্ট্রি থাকবে গান্ধীঘাট, নাগেরজলা, বটতলা, দশমী ঘাট, জয়পুর, জয়নগর, ফায়ার সার্ভিস চৌমুহনী, আইজিএম চৌমুহনী, বীরেন্দ্র ক্লাব জংশন, আর এম এস চৌমুহনী, মধ্যপাড়া রোড, ওরিয়েন্ট চৌমুহনী, জেকসন গেইট, মহারাজগঞ্জ বাজার, নেতাজির চৌমহনী এবং লালমাটিয়া কসিং। জরুরী পরিষেবার জন্য রাস্তা খোলা থাকবে হাঁপানিয়া- এডি নগর- উড়ালপুল- আইজিএম- টিআরটিসি- বি কে চৌমহনী – কর্নেল চৌমুহনী- হারাধন সংঘ- উত্তর গেট- জিবিপি হসপিটাল এবং আইএলএস হসপিটাল রোড।
জরুরী পরিষেবা এবং রেল যাত্রী ও বিমান যাত্রী যারা থাকবেন তারা অবশ্যই পর্যাপ্ত প্রমাণপত্র, বিমানের টিকিট এবং রেলের টিকিট গাড়িতে ব্যবহার করে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হবে। পার্কিংয়ের জন্য যে রাস্তা গুলি নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল ভিভিআইপি জন্য সিটি সেন্টার এবং রবীন্দ্র পল্লী কোয়ার্টার কমপ্লেক্স, অফিস ভেহিকেলের পার্কিং জোন করা হয়েছে অফিস লেইন বক্স কালবার্ট, সাধারণ মানুষের জন্য পার্কিং জোন করা হয়েছে আইজিএম চৌমুহনী, আর এম এস চৌমহনী, জ্যাকসন গেইটের বক্স কালভার্ট, বটতলা টিআরটিসি কমপ্লেক্স, ফ্লাই ওভারের নিচে ৩৮ নম্বর পিলার থেকে ৪২ নম্বর পিলার পর্যন্ত। গান্ধীঘাট থেকে রামকৃষ্ণ মিশন, গাঙ্গাইল রোড। পুলিশের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা করা হয়েছে উমাকান্ত স্কুল মাঠে। প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য ব্যবহার করতে বলা হয়েছে নর্থ জোনের ক্ষেত্রে রাধানগর- উত্তর গেট- মরা চৌমহনি- বি.কে রোড- মহিলা কলেজ রোড- লক্ষ্মীনারায়ণ বাড়ি রোড- কামান চৌমুহনী – হরি গঙ্গা বষাক রোড – পোস্ট অফিস চৌমুহনী -সিটি সেন্টার- বটতলা – দশমীঘাট এলাকা। ইষ্ট জোনের জন্য আশ্রম চৌমহনী – আশ্রম চৌমুহনী- পুরনো মোটর স্ট্যান্ড – দশমীঘাট। ওয়েস্ট জোনের জন্য দুর্গা চৌমহনি – শংকর চৌমুহনী- বিজয় কুমার চৌমুহনী – দশমীঘাট। সাউথ জোনের জন্য এ.ডি নগর- নাগেরজলা, বটতলা- ফায়ার সার্ভিস চৌমুহনী – আইজিএম চৌমুহনী – আর এম এস চৌমুহনি- জ্যাকসন গেট- কামান চৌমুহনি- দশমীঘাট। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে রোড ম্যাপ করা হয়েছে তা কতটা যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পারবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ আগরতলা শহর ছোট। শহরের আয়তন অনুযায়ী যানবাহন ও জনগণ অতিরিক্ত। এই ব্যস্ততম শহরে কার্নিভাল কতটা উপযোগী সেটা একমাত্র কার্নিবেলের দিনে উপভোগ করতে পারে সাধারণ মানুষ!