স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ নভেম্বর : দিকে দিকে গড়ে উঠছে বেকার আন্দোলন। বেকার সমস্যা সমাধান করার যে সংকল্প নিয়ে বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার বাস্তব রূপ দিতে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর মন্ত্রী মশাই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘর থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে শূন্যপদ পূরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে ধারাবাহিকভাবে ঘোষণা দিয়ে চলেছেন।
কিন্তু বাস্তবে কতটা শূন্যপদ পূরণ হচ্ছে তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি রয়েছে বেকার মহলে। বৃহস্পতিবার আবারো এমপিডব্লিউ শূন্যপদ পূরণের দাবিতে স্বাস্থ্য দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভের সামিল হয় চাকরি প্রত্যাশী যুবক যুবতীরা। কিন্তু গ্রামীন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলির অপরিহার্য অঙ্গ হচ্ছে এম পি ডাব্লিউ। গ্রামীন এলাকার মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া এবং মা ও শিশুর খেয়াল রাখার দায়িত্ব প্রতিপালন করেন তারা। অথচ শূন্যপদ থাকার পরেও স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এখনো সেই শূন্য পদে এ এন এম এবং এম পি ডাব্লিউ নিয়োগের কোন বিজ্ঞপ্তি জারি করছে না। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে শেষ বার এম পি ডাব্লিউ নিয়োগ করা হয়েছিল। এরপর থেকে এম পি ডাব্লিউ নিয়োগ বন্ধ। সেই সময় ৭৯১ টি পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলেও পরবর্তী সময় তা বাতিল করে দেওয়া হয়। নতুন ভাবে এ এন এম এবং এম পি ডাব্লিউ নিয়োগ করা হবে বলে আশা ছিল তাদের। এই নিয়ে বেশ কয়েক দফায় অধিকর্তার কাছে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়েছে।
৭০০ -র উপর শূন্য পদ থাকলেও তা পূরণের অনুমোদন দিচ্ছে না অর্থ দপ্তর। স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য বলা হচ্ছে বেকারদের। সেই অনুযায়ী স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে দেখা করার জন্য অনুমতি চায় অল ত্রিপুরা আন এমপ্লয়িড এ এন এম – এম পি ডব্লিউ। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন সদুত্তর পায় নি। তাই বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার গুর্খাবস্তী স্থিত স্বাস্থ্য ভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা। পরে এক প্রতিনিধি দল গিয়ে ডেপুটেশন প্রদান করে। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নিয়োগ করা হয়। তারপর করোনা পরিস্থিতিতে মাত্র ১০০ জনকে ছয় মাসের জন্য কন্টাকচুয়াল ভাবে নিয়োগ করেছিল দপ্তর। তারপর তাদের এক বছর পর চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর এই নিয়োগ পক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান তারা। বর্তমানে ১০০০ হাজারের উপর বেকার এ এন এম- এম পি ডব্লিউ রয়েছে বলে দাবি করেন তারা।