স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল: বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । নির্বাচনী প্রচার সেরে ফেরার সময় তাঁর হেলিকপ্টার মাটি ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হাওয়ার ধাক্কায় নিয়ন্ত্রণ হারালো। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কোনওমতে পরিস্থিতি সামাল দেন পাইলট। যার জেরে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
নির্বাচনী প্রচার উপলক্ষে সোমবার বিহারের বেগুসরাইয়ে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। সেখানে প্রচার সারার পর দিল্লি ফেরার জন্য কপ্টারে চড়ে বসেন তিনি। তবে হেলিকপ্টার মাটি ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বাধে বিপত্তি। হঠাৎ প্রবল হাওয়ার ধাক্কায় ভারসাম্য হারায় চপার। রীতিমতো দুলে ওঠে সেটি। এই অবস্থায় শূন্যে একটি মোড় নিয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে চপার নিয়ন্ত্রণে আনেন চালক। এর পর গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঘটনার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। তাতে দেখা গিয়েছে, উড়ানের সময় ডান দিকে হেলে যায় কপ্টারটি। প্রায় মাটি ছুঁয়ে ফেলছিল সেটি। তখনই পরিস্থিতি সামাল দিতে সফল হন চালক।
এদিকে সোমবার বিহারের নির্বাচনী সভায় উপস্থিত হয়ে বিরোধী শিবিরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা যায় অমিত শাহকে। সেখানে উঠে আসে কাশ্মীর প্রসঙ্গ। শাহ বলেন, ‘কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, কাশ্মীরে কী হল না হল তাতে রাজস্থান ও বিহারের কী আসে যায়। গত ৭০ বছর ধরে কংগ্রেস ও লালু প্রসাদ যাদব ৩৭০ ধারাকে লালন পালন করেছেন যেন এটি তাঁদের অবৈধ সন্তান। রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার হলে উপত্যকায় রক্ত নদী বইবে। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই ধারা তুলে নিয়েছেন। রক্ত নদী তো দূরের কথা গত ৫ বছরে একটি পাথরও কেউ ছোড়ার সাহস পায়নি।’
বিরোধী জোটকে নিশানায় নিয়ে শাহ আরও বলেন, ‘যদি ইন্ডিয়া জোটের সরকার গঠন হয় তবে এরা প্রধানমন্ত্রী পদ ভাগাভাগি করবে। এক বছর শরদ পওয়ার প্রধানমন্ত্রী হবেন, এক বছর লালুজি প্রধানমন্ত্রী হবেন, এক বছর মমতাজি প্রধানমন্ত্রী হবেন, এক বছর স্টালিন প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং কিছু বাকি থাকলে রাহুল বাবা কুর্সিতে বসবেন। আপনারা কি এমন প্রধানমন্ত্রী চান?