স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩০ অক্টোবর : মাত্র ছয় মাস আগেই পাকিস্তানে ঢুকে জইশের ভিত নড়িয়ে দিয়েছে ভারত। এবার পাক সীমান্তে শুরু হল সামরিক অনুশীলন। গুজরাট সীমান্তের স্যার ক্রিক অঞ্চলে তিন বাহিনীর মিলিত এই যুদ্ধমহড়ার নাম রাখা হয়েছে ‘অপারেশন ত্রিশূল’।
অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রস্তুতি পরীক্ষা করার জন্য ত্রিশূলে বিশেষ বাহিনীর কমান্ডো, ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাটারি, যুদ্ধজাহাজ, ট্যাঙ্ক, রাফালে এবং সুখোই এসইউ-৩০-সহ অন্যান্য বিমানগুলি অংশগ্রহণ করবে। এই অনুশীলনের মাধ্যমে পাকিস্তানের দক্ষিণ অঞ্চলে আক্রমণের মহড়া দেওয়া হবে।
এই অনুশীলনে স্থলবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনার মধ্যে সমন্বয়ের জন্য মহড়া দেওয়া হবে। আগামী ১২ দিন ধরে এই মহড়া চলবে। এই অনুশিলনে সেনা বাহিনীর তরফ থেকে টি-৯০ ট্যাঙ্ক এবং ব্রহ্মস মিসাইল ইউনিট পাঠিয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে আকাশ মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই আকাশ মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই অপারেশন সিঁদুরের সময়ে পাকিস্তানের সব আক্রমণ সফলভাবে প্রতিহত করেছে।
এই অনুশীলনে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রচন্ড হেলিকপ্টারও থাকছে। বিমান বাহিনীর তরফ থেকে ফরাসি রাফালে এবং রাশিয়ায় তৈরি সুখোই সু-৩০ থাকছে। এর সঙ্গে থাকছে সমুদ্র সি গার্ডিয়ান এবং হেরন ড্রোন। অন্যদিকে, নৌবাহিনীর তরফ থেকে থাকছে কলকাতা-ক্লাস ডেস্ট্রয়ার এবং নিলগিরি-ক্লাস ফ্রিগেট। এরসঙ্গেই থাকছে দ্রুত আক্রমণ করতে পারে এমন বিভিন্ন অস্ত্র এবং জলযান। অপারেশন ত্রিশূলে থাকবে সেনাবাহিনীর বিশেষ ব্যাটেলিয়ান, প্যারাশুট রেজিমেন্ট প্যারা এসএফ। এরসঙ্গে থাকছে নৌবাহিনীর বিশেষ ব্যাটেলিয়ান মারকোস। এই মারকোস, জল এবং স্থল দুই জায়গাতেই অপারেশন চালাতে পারে। সন্ত্রাস বিরোধী অপারেশনে অত্যন্ত দক্ষ এই বাহিনী। বিমান বাহিনীর বিশেষ কমান্ডো ইউনিট গরুড় যোগ দিচ্ছে ত্রিশূলে।
এর জেরেই এবার ভয়ে কাঁপতে শুরু করেছে পাকিস্তান। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই তারা তাদের বায়ুসীমায় বিধিনিষেধ চাপিয়েছে। পাশাপাশি, একটি ‘নোটাম’ও জারি করা হয়েছে বলে খবর। তবে বিমানকর্মীদের পাঠানো ওই নোটিসে এর কোনও কারণ দর্শানো হয়নি।

