স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৬ মে : নয়া দিল্লির বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসাবে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলির জন্য তাদের আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। আর কোনও দেশের উপর অবশ্য এই নিষেধাজ্ঞা নেই। তার পরেও অবশ্য দেখা যাচ্ছে, বিদেশের বিভিন্ন বিমান সংস্থা পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়াচ্ছে।
জার্মানির বিমান সংস্থা লুফত্হানসা বিমানচালকদের পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে যেতে বলেছে। এর ফলে এশিয়ার বেশ কিছু দেশে পৌঁছতে ওই বিমান সংস্থার বিমানের অতিরিক্ত সময় লাগছে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ়, সুইস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, এয়ার ফ্রান্স এবং এমিরেটসের বিমানগুলি দিল্লি যাওয়ার সময় পাকিস্তানকে এড়িয়ে কিছুটা উত্তর দিক ঘেঁষে ভারতে ঢুকছে। তার পর আরব সাগরের উপর দিয়ে দিল্লি পৌঁছচ্ছে বিমানগুলি।
এয়ার ফ্রান্স-এর তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জেরে পাকিস্তানের উপর দিয়ে বিমান না-চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ় এই প্রসঙ্গে কিছু না জানালেও মনে করা হচ্ছে, একই কারণে পাকিস্তানের আকাশপথকে এড়িয়ে যাচ্ছে তাদের বিমান। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রবিবার লুফত্হানসার একটি বিমান ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয়। নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা পরে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করে সেটি। যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করার সুযোগ থাকলেও ওই বিমানটি পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে যায়।
বিভিন্ন বিদেশি বিমান সংস্থা পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এর বহুমুখী প্রভাব পড়তে চলেছে। বিমানগুলিকে অতিরিক্ত পথ অতিক্রম করতে হওয়ায় জ্বালানি খরচ বাড়ছে। ফলে বিমানের ভাড়া বাড়তে পারে। গন্তব্যে পৌঁছনোর সময়ও বিলম্বিত হতে পারে। অন্য দিকে, এর ফলে লোকসান হচ্ছে পাকিস্তানেরও। কারণ বিমান কোনও দেশের আকাশপথ ধরে অন্য কোনও গন্তব্যে গেলে সেই দেশ একটি নির্দিষ্ট অর্থ পেয়ে থাকে, যাকে ‘ওভারফ্লাইট ফিজ়’ বলা হয়। বিমানের ওজন, সেটি সংশ্লিষ্ট দেশে কতটা পথ পাড়ি দিচ্ছে, এগুলির উপর নির্ভর করে অর্থের অঙ্ক নির্ধারিত হয়।