স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,১৪ অক্টোবর: রাশিয়ার পাইপলাইন বন্ধ হয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে জ্বালানির যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যে ‘ইউরোপীয় সংহতির’ প্রকাশ ঘটিয়ে ফ্রান্স এই প্রথম জার্মানিতে সরাসরি প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করেছে।বৃহস্পতিবার এ সরবরাহ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের গ্যাস সরবরাহ কোম্পানি ‘জিআরটিগ্যাজ’। ভিন্ন পথে গ্যাস সরবরাহের জন্য কোম্পানিটি কয়েকমাস আগে থেকেই কাজ শুরু করেছিল।তাছাড়া, ইউরোপে জ্বালানি স্বল্পতার ঝুঁকি কমাতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর সঙ্গে গত সেপ্টেম্বর মাসে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস একটি জ্বালানি সহযোগিতা চুক্তিও করেছিলেন।ফ্রান্স সেই চুক্তির আওতায়ই জার্মানিতে গ্যাস পাঠাল বলে জানিয়েছে বিবিসি। নতুন এই গ্যাস প্রবাহ জার্মানির দৈনিক চাহিদার ২ শতাংশের কম হলেও এ পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখা হচ্ছে।ফ্রান্সের জিআরটিগ্যাজ কোম্পানি বলেছে, ইউক্রেইনে যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট নতুন জ্বালনি সংকট পরিস্থিতিতে ফ্রান্স সরাসরি প্রতিবেশী দেশ জার্মানিতে গ্যাস পাঠিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
রাশিয়ার গ্যাসের ওপর ফ্রান্সের নির্ভরশীলতা অনেক কম। সে তুলনায় জার্মানি রাশিয়ার গ্যাসের ওপর বেশি নির্ভারশীল। সে কারণে রাশিয়ার গ্যাস পাইপলাইন সংকটের মুখে পড়ে জার্মানিকে জরুরি ভিত্তিতে গ্যাসের অন্য উৎসের সন্ধান করতে হচ্ছে।রাশিয়া ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে নর্ড স্ট্রিম ১ এবং ২ পাইপলাইন দিয়ে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ অনেকবারই ব্যাহত হয়েছে। উপরন্তু গত মাসে বাল্টিক সাগরের নিচ দিয়ে চলে যাওয়া এই পাইপলাইনে বিস্ফোরণ ঘটে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং একাধিক ফুটো শনাক্ত হয়েছে।এই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে এবং রাশিয়া পাইপলাইনে বিস্ফোরণের জন্য পশ্চিমাদেরকে দায়ী করেছে। যদিও এর কোনও প্রমাণ তারা দিতে পারেনি। ওদিকে, ইউরোপ বিস্ফোরণের ঘটনাকে নাশকতা বলে মনে করছে।রাশিয়া এর আগেও বিভিন্ন সময় নর্ড স্ট্রিমের ‘ত্রুটি মেরামতের কথা বলে এ পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। ইউরোপের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে রাশিয়া একাজ করেছে। তবে মস্কো বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।