স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,১২ অক্টোবর: ইউক্রেইনে রাশিয়ার হামলার তীব্রতা বাড়ার মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন জি৭ জোটের নেতারা। তাদের কাছে ইউক্রেইনের আকাশ প্রতিরক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে আরও অত্যাধুনিক অস্ত্র দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।রাশিয়া-ক্রাইমিয়ার মধ্যে একমাত্র সংযোগ সেতুতে গত শনিবার ট্রাক বিস্ফোরণের ঘটনার পর প্রতিশোধ নিতে ইউক্রেইনে হামলার তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া।কের্চ নামে ওই সেতুতে হামলায় ইউক্রেইন জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন পুতিন। বিস্ফোরণে সেতুর একটি অংশ ধসে গিয়েছিল।যার জেরে সোমবার রাজধানী কিইভসহ ইউক্রেইনের বিভিন্ন শহরে তীব্র ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। মঙ্গলবারেও একইরকম হামলা চলছে।রুশ হামলায় দক্ষিণপূর্বের শহর জাপোরিজিয়া এবং পশ্চিমের নগরী লভিভের অর্ধেকাংশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবারের হামলায় একজন নিহত হয়েছে। এর আগে সোমবারের হামলায় ইউক্রেইন জুড়ে অন্তত ১৯ জন নিহত হয় বলে জানা গেছে।এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ‘এক নম্বর অগ্রাধিকার’ ভিত্তিতে আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা চেয়েছেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেইনেকে সহায়তা করতে আর কী কী করা যায় তা নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং জি৭ এর অন্যান্য নেতারা মঙ্গলবার জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।বাইডেন অবশ্য এরইমধ্যে ইউক্রেইনকে আরও আকাশ সুরক্ষা অস্ত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বাইডেনের এই প্রতিশ্রুতি নিশ্চিতভাবেই যুদ্ধের বিস্তৃতি ঘটাবে বলে সতর্ক করেছেন ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এই সম্মেলনের মেজাজ ইতিমধ্যে সুস্পষ্ট এবং অনুমানযোগ্য। এই সংঘর্ষ তাই চলতেই থাকবে।”ওদিকে, বৈঠকে জি৭ নেতারা ইউক্রেইনে রাশিয়ার তীব্র ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কড়া নিন্দা জানিয়ে এর জন্য দায়ী রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ অন্যান্যদের জবাবদিহি করানোর অঙ্গীকার করেছেন।বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছেন, “নিরপরাধ মানুষের ওপর নির্বিচারে হামলা যুদ্ধাপরাধের সামিল।”এর জেরে রাশিয়ার ওপর আরও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাওয়া হবে বলে জানান নেতারা। একইসঙ্গে রাশিয়ার আগ্রাসনের যুদ্ধকে সমর্থন না দেওয়ার জন্য বেলারুশ কর্তৃপক্ষকেও আহ্বান জানান তারা।