Thursday, November 13, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদচার্লি কার্কের হত্যাকারীকে ধরিয়ে দিলে ১ লাখ ডলার পুরস্কার

চার্লি কার্কের হত্যাকারীকে ধরিয়ে দিলে ১ লাখ ডলার পুরস্কার

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, ১২ সেপ্টেম্বর।। যুক্তরাষ্ট্রের ইউটায় এক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হওয়া চার্লি কার্কের হত্যাকারী সম্পর্কে কোনও তথ্য দিলে বা তাকে ধরিয়ে দিলে ১ লাখ ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। এর আগে এফবিআই সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করে। বৃহস্পতিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি প্রকাশ করে এফবিআই-এর সল্ট লেক সিটি শাখা। সন্দেহজনক ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে জনসাধারণের সাহায্য চায় তারা।

কার্কের হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার প্রকাশিত এটিই কোনও ব্যক্তির প্রথম ছবি। সন্দেহভাজন এই ব্যক্তির পরিচয় এখনও অজানা। তার ছবি প্রকাশের পরই এক ঘোষণায় এফবিআই বলেছে, “চার্লি কার্ককে হত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিকে বা (ব্যক্তিদেরকে) শনাক্ত করতে কেউ তথ্য দিলে এবং ধরিয়ে দিলে ১ লাখ ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে।” কারো কাছে তথ্য থাকলে তাকে ফোন নাম্বারের মাধ্যমে যোগাযোগ করা এবং অনলাইনে ছবি ও ভিডিও দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে এফবিআই। এর আগে কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার সকালে মানুষজনের কাছ থেকে হত্যাকারী সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছে বলে জানিয়েছিল। হত্যার উদ্দেশ্য কি ছিল তা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় নানা চর্চা চলছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি। এক সংবাদ সম্মেলনে কর্তৃপক্ষ বলেছে, আততায়ী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে ছাদে ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চার্লি কার্ককে হত্যায় ব্যবহৃত বোল্ট-অ্যাকশন রাইফেল এফবিআই এরই মধ্যে উদ্ধার করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, আততায়ী পাশের একটি ছাদে উঠে গুলি চালায়। হামলার পরপরই আততায়ী কাছের একটি পাড়ায় মানুষের মধ্যে মিশে যায়। খুনের ২৪ ঘন্টা পেরোলেও হামলাকারী এখনও ধরা পড়েনি। তবে এফবিআই বলেছে, তারা আতাতয়ীর অতি ক্ষমতাসম্পন্ন রাইফেল খুঁজে পেয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া সন্দেহভাজন ব্যক্তির পায়ের ছাপ ও অন্যান্য প্রমাণ খতিয়ে দেখেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন চার্লি কার্ক। বুধবার আমেরিকার ইউটা ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ৩১ বছরের কার্ক। সম্প্রতি আমেরিকার কলোরাডো থেকে ভার্জিনিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সফর করার পরিকল্পনা করেছিলেন নিহত এই রক্ষণশীল নেতা। নাম দিয়েছিলেন, ‘দ্য আমেরিকান কামব্যাক ট্যুর’। এই সফরসূচির অংশ ছিল ইউটার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনাসভায় যোগদান। সেখানে সমবেত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন চার্লি। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করা হয়। কিশোর বয়স থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন কার্ক। ছাত্র সংগঠন ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হিসেবে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রিপাবলিকানদের প্রতি সমর্থন জোগাড়ে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য