স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৯ মার্চ : তথাকথিত সভ্য সমাজে নারীরা সুরক্ষিত নয় তার পরিবারের। স্বামী ও স্বামীর বন্ধু-বান্ধবদের দ্বারা গণধর্ষণের মতো ন্যাক্কারজনক পাশবিক লালসার শিকার হলেন এক দিবাঙ্গ গৃহবধূ। তার শরীরে ৭৫ শতাংশই অচল। এই মহিলাকে তার স্বামী এবং বন্ধু-বান্ধবদের দ্বারা গণধর্ষণের মতো পাশবিক লালসার শিকার হতে হলো।
পরবর্তী সময়ে গত ১৪ মার্চ মামলা হয় আমতলী থানায়। মামলা রেজিস্টার করে তদন্তে নেমে আমতলী থানার পুলিশ সুব্রত দে নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। এ বিষয়ে আমতলী থানার এক মহিলা পুলিশ অফিসার জানান, গত ১৪ মার্চ ছয়জনের বিরুদ্ধে গৃহবধূ মামলা করেছেন। যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তারা হলেন গৃহবধুর স্বামী এবং স্বামীর বন্ধু-বান্ধব। অভিযুক্ত স্বামীর বাড়ি যোগেন্দ্রনগর এলাকায়। পুলিশ সুব্রত দে নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এবং তার পুলিশ রিমান্ডের দাবি জানিয়ে আদালতে তুলেছে। পুলিশের ধারণা বাকি অভিযুক্তদের দ্রুত জালে তুলতে পারবে। কিন্তু ঘটনার পর মামলা হওয়ার ছয় দিন অতিক্রান্ত হয়ে চলেছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত মাত্র একজনকেই গ্রেফতার করতে পেরেছে। বাকিদের দ্রুত জালে না তুলতে পারা পুলিশের এক প্রকার ব্যর্থতা বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে কঠোর শাস্তি ব্যবস্থা করার জন্য দাবি করলো রাজধানীর যোগেন্দ্রনগর এলাকাবাসী। তবে এই ঘটনা স্পষ্ট করে দিয়েছে মহিলাদের সুরক্ষা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে। সমাজব্যবস্থাকে কতটা পাষন্ডতা গ্রাস করতে চলেছে। কতটা মনুষ্যত্বহীন হলে একজন স্বামী নিজের স্ত্রীকে ধর্ষকদের হাতে তুলে দিতে পারে।