স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৪ নভেম্বর: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, খেরসন অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ৪০০-এর বেশি যুদ্ধাপরাধের ঘটনা উন্মোচিত হয়েছে। এসব ঘটনার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন তিনি। গতকাল রোববার রাতে দেওয়া এক ভিডিও বক্তব্যে জেলেনস্কি এসব কথা বলেছেন। খবর বিবিসির।ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, খেরসনে বেসামরিক নাগরিক এবং সেনাদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘রুশ সেনাবাহিনী আমাদের দেশের যেসব অঞ্চলে ঢুকতে পেরেছে এবং নৃশংসতা চালিয়েছে, সে একই ধরনের নৃশংসতার চিহ্ন খেরসনেও রেখে গেছে তারা। আমরা প্রত্যেক খুনিকে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করব। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’বিবিসি বলছে, তারা ইউক্রেনের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। তবে মস্কো বরাবরই বলে আসছে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেনি।
ইতিমধ্যে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ খেরসনে কারফিউ জারি করেছে। খেরসন থেকে বাইরে যাওয়া এবং বাইরের এলাকা থেকে খেরসনে প্রবেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর বুচা, ইজিয়াম, মারিউপোলসহ বিভিন্ন এলাকায় গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইউক্রেনের অভিযোগ, রুশ সেনারাই এ নৃশংস কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন।গত অক্টোবরে জাতিসংঘের একটি কমিশন বলেছে, ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে। অভিযানের শুরু থেকে রুশ বাহিনী বিপুলসংখ্যক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার জন্য দায়ী।ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর থেকে মস্কোর দখলে যাওয়া একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী মস্কো। গত সেপ্টেম্বরে ক্রেমলিনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে খেরসনসহ ইউক্রেনের আরও তিনটি অঞ্চলকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দেন পুতিন।গত শুক্রবার ইউক্রেন বলেছে, তাদের সেনারা খেরসন শহর দখলমুক্ত করেছেন। শহরটি থেকে প্রায় ৩০ হাজার রুশ সেনা সরে যাওয়ার পর ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আবারও খেরসনের প্রশাসনে ফিরেছেন।তাঁদের আশঙ্কা, রুশ সেনারা এখন দিনিপ্রো নদীর ওপারে অবস্থান নিয়ে গোলা হামলা শুরু করতে পারেন। ওই নদীপথে ১৩ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।খেরসন অঞ্চলে রাশিয়ার বিস্ফোরক ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে। স্থানীয় লোকজন যাঁরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিলেন, তাঁদের এখনই বাড়ি না ফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বাড়িতে মাইন পুঁতে রাখা আছে কি না, তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার পরই ফিরতে বলা হয়েছে।