স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ জুন : ২৩ জুন ভোট কেন্দ্রের ভিতর কেউ কিছু করতে পারবে না। যদি কোন ব্যারিকেড করার সৃষ্টি হয় তাহলে একটি ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলেই হবে, তাড়াতাড়ি সে নম্বরে ফোন করলে হবে। কিন্তু অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সত্যের জয় হতে হবে। আসন্ন উপনির্বাচনকে সামনে রেখে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মন।
তিনি সকল ভোটারদের কাছে আহ্বান জানান ২৩ জুন যাতে সকাল সকাল উৎসবের মেজাজে ভোট দিতে যান। এবং চা খাওয়ার আগেই ভোট দিতে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান সুদীপ রায় বর্মন। পরে তিনি বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদে তিনি দায়িত্ব পেয়েছিলেন মাত্র ১৪ মাস। দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি যে কাজগুলি করেছিলেন তাতে কোনো রকম ত্রুটি ছিল না, যে তাকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন সুদীপ রায় বর্মন। রাজ্যের মানুষ তো তাঁর কাজে খুশি ছিলেন।
চার বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও আজও জানা গেল না কেন মন্ত্রিসভা থেকে তিনি বাদ পড়লেন। কারণ মানুষ ভালবাসে প্রশংসা করতে শুরু করেছিলেন। তাই হিংসা করতে শুরু করেছে কেউ কেউ। তাই রাজনীতির শিকার হয়েছেন বলে জানান সুদীপ রায় বর্মন। এর জন্য আফসোস করে বলেন কাজের সুযোগ পাননি, আজ যদি দায়িত্বে থাকতেন তাহলে স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে একটি ভালো জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার মনোবল প্রকাশ করেন।
আজ রাজ্যের অলিগলিতে যুবকরা নেশা আকৃষ্ট। কিন্তু এদিন দেখতে রাজ্যবাসী ভোট দেয়নি ভারতীয় জনতা পার্টিকে। যে ইস্যু গুলি নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি বৈতরণী পার হয়েছে সেগুলি তো তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। ভাবা হয়েছিল ভাল কিছু করবে। আসলে মনে ইচ্ছে ছিল না। দেখা গেছে মানুষের পরিবর্তনের চাহিদা। কিন্তু বিজেপি যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে না তা জানা ছিল না। কারণ এটা সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা রাজ্যে এসে ভিশন ডকুমেন্টের নামে মানুষকে প্রলোভিত করা হয়েছে। কোন প্রতিশ্রুতি তারা পালন করে নি। ১০,৩২৩ -এর সুষ্ঠু সমাধান এবং সপ্তম বেতন কমিশন, বেকারদের কর্মসংস্থান সহ কোন প্রতিশ্রুতি পালন করেনি সরকার।
কেন্দ্রীয় সরকারকে তোলোধুনো করে বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আট বছর পূর্তি হয়েছে, কিন্তু আট বছর আগে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটাই উন্নত ছিল। পেট্রোপণ্যের মূল্য, জীবনদায়ী ওষুধ, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য সহ রান্নার গ্যাসের মূল্য অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে এইগুলি মানুষের নাগালের বাইরে বলে জানান তিনি। যে দল এবং যে সংস্থার স্বাধীনতা আন্দোলনে কোন ভূমিকা ছিল না, ব্রিটিশদের পঞ্চম বাহিনী হিসেবে যাদের ভূমিকা তারা এখন মানুষকে দেশের ইতিহাস শেখানোর চেষ্টা করছে। যে দলের পন্থা দেশের পিতা মহাত্মা গান্ধীজিকে হত্যা করতে পারে, তাকে বিজেপি পূজা করে বলে সমালোচনা করেন তিনি। ২০১৪-র পর দেশ পিছিয়ে গেছে। দেশে মান-সম্মান বিদেশের মাটিতে ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। তাই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন শ্রী বর্মন।