Wednesday, March 26, 2025
বাড়িরাজ্যবিজেপি-র ১১ জনকে খুন করে যে কংগ্রেসী ও বামপন্থীর ক্রিমিনালরা আগরতলায় আত্মগোপন...

বিজেপি-র ১১ জনকে খুন করে যে কংগ্রেসী ও বামপন্থীর ক্রিমিনালরা আগরতলায় আত্মগোপন করে আছে তাদের চিহ্নিত করতে কার্যকর্তাদের প্রতি আহ্বান সংসদের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ১৬ ফেব্রুয়ারি : কেন্দ্রীয় বাজেটকে সামনে রেখে রবিবার আগরতলা শহরে কেন্দ্রীয় সরকারকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে একজন সভার আয়োজন করা হয়। রাজধানীর প্যারাডাইস চৌমুহনি এলাকায় সদর (শহর) জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে এই জনসভায় আয়োজন করা হয়। জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তথা সংসদ রাজীব ভট্টাচার্য। জনসভায় এদিন বক্তব্য রেখে সংসদ রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, কেন্দ্র সরকার বর্তমানে জনকল্যাণমুখী কেন্দ্রীয় বাজেট সামনে নিয়ে এসেছে। এই বাজেট নিয়ে বিরোধীদের তুলোধুনো করে তিনি বলেন, এত মূর্খ, এত অপদার্থ তারা জানা ছিল না।

কেন্দ্রীয় বাজেট এবং রাজ্যর বাজেটের মধ্যে পার্থক্য বুঝে না রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। তারা আবার এসেছে রাজনীতি করতে! তারাই মানুষকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিভ্রান্ত করে। এর চুনোপুটি নেতাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাই আগরতলা শহরের মিছিল করে হাতে মাইক নিয়ে বলে রাজ্যের গণতন্ত্র নেই এবং আইনের শাসন নেই। অথচ নিবিঘ্নে আগরতলা শহরের বুকে কংগ্রেস, সিপিআইএম মিছিল করে চলেছে। কিন্তু ২০১৮ সালের আগে ভারতীয় জনতা পার্টির ১১ জন কার্যকর্তাকে খুন করেছেন এবং বহু নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন। এগুলি ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তারা ভুলে যায়নি। ভারতীয় জনতা পার্টি কার্যকর্তারা গণতন্ত্রের উপর বিশ্বাসী। জনসভায় তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি কার্যকর্তাদের কবর দেওয়ার জন্য কমিউনিস্টরা বিশাল গর্ত খনন করে রেখেছিল। খোয়াই নদীতে রক্ত ভাসবে বলেও বক্তৃতা করেছিল। তারপর ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর রাজ্যে এখন পর্যন্ত দুটি লোকসভা নির্বাচন, বিধানসভা নির্বাচন এবং ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন সহ কোন নির্বাচনে একটিও রাজনৈতিক সন্ত্রাস হয়নি।

কারণ ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তারা অনুশাসনের কার্যকর্তা এবং সুশৃংখল কার্যকর্তা। তারা অনুশাসনকে মান্যতা দিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু বহু কমিউনিস্ট ও কংগ্রেসের নেতারা প্রতারণার কারণে এখন তারা বাড়িতে ফিরতে পারছে না। তারা মানুষকে হুমকি দিয়েছে, চাঁদাবাজি করেছে। এখন তারা মানুষের আতঙ্কে বাড়িতে ফিরতে পারছে না। তারা আগরতলায় আশ্রয় নিয়েছে। এখন প্রয়োজনের তাগিদে তারা বেরিয়ে পড়ে রাস্তায় এবং বলে গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্র নেই। এই ক্রিমিনালদের চিহ্নিত করে সদর জেলার কার্যকর্তারা পুলিশের সহায়তা নেন। তাদের ছাড়া হবে না। তারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় খুন করেছে নিশিকান্ত চাকমা, চানমোহন ত্রিপুরা সহ ১১ জন নেতৃত্ব। তিনি আরো বলেন, আগরতলা শহরে সংবিধান প্রণেতা ডঃ বি আর আম্বেদকর নিয়ে বারবার বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস কথা বলছে। এই কংগ্রেস বারবার সংবিধানকে অবমাননা করেছে। এর তীব্র বিরোধিতা করে সমালোচনা করলেন সাংসদ। আরো বলেন , বিজেপি রাজ্যের উন্নত করতে চায়। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা করা। সংসদে পেশ করা কেন্দ্রীয় বাজেটে সরকারি কর্মচারীরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে বলে দাবি করেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন যাদের আয় বছরে ১২ লক্ষ টাকা। তাদেরকে আয় কর দিতে হবে না। তিনি এইদিন কমিউনিস্ট নেতাদের কটাক্ষ করে বলেন তারা কেন্দ্রীয় বাজেট ও রাজ্যের বাজেট বুঝে না। তারা রাস্তায় দাড়িয়ে মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। সিপিআইএম ও কংগ্রেস আগরতলা শহরে বিনা বাধায় মিছিল মিটিং করে। তারাই আবার প্রচার করে ত্রিপুরা রাজ্যে গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই। আয়োজিত জনসভায় এদিন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, প্রদেশ বিজেপি -র সহ সভাপতি সুবল ভৌমিক, বিধায়িকা মিনারানী সরকার সহ অন্যান্যরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য