Wednesday, March 26, 2025
বাড়িরাজ্যআখাউড়া বর্ডার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত শ্যাটেল সার্ভিসের সূচনা

আখাউড়া বর্ডার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত শ্যাটেল সার্ভিসের সূচনা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ নভেম্বর : বাংলাদেশ থেকে আগত যাত্রীদের সুবিধার্থে আখাউড়া ল্যান্ড পোর্ট থেকে এম বি বি বিমানবন্দর পর্যন্ত শ্যাটেল সার্ভিস চালু হলো শুক্রবার। এর শুভ উদ্বোধন করলেন মেয়র দীপক মজুমদার। ২০১৩ সালের ১৭ ই নভেম্বর প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রথম এবং ভারতের দ্বিতীয় ল্যান্ড পোর্ট আগরতলা-আখাউড়ার যাত্রা শুরু হয়। ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এদিন আখাউড়া ল্যান্ড পোর্টে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত, বাংলাদেশ সহকারি হাই কমিশনের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোঃ সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের যাত্রীদের সুবিধার্থে আখাউড়া বর্ডার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত শ্যাটেল সার্ভিসের সূচনা করেন মেয়র দীপক মজুমদার। যার সাহায্যে বাংলাদেশের যাত্রীরা খুব কম খরচেই আগরতলা বিমানবন্দর পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারবে। এবং বিএসএফ জওয়ানরা এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে। রক্তদান শিবির ঘুরে দেখেন মেয়র সহ অন্যান্য অতিথিরা।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেয়র বলেন, ১০ বছর আগে যেখানে বছরে ৩০ হাজার লোক বাংলাদেশ থেকে ভারতবর্ষে এবং ভারত বর্ষ থেকে বাংলাদেশে যাতায়াত করত, এখন এক মাসে প্রায় ৪০ হাজার লোক যাতায়াত করে। পরিষেবার উন্নতি হওয়ায় এত সংখ্যক যাত্রী এই পোর্টের মাধ্যমে যাতায়াত করেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের একটা আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। মেয়র আরো বলেন, আমদানী রপ্তানী বানিজ্য বৃদ্ধি হয়েছে। এর সঙ্গে মানোন্নয়ন ঘটেছে পোর্টের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত মানুষের জীবনের। বাংলাদেশের যাত্রীরা প্রত্যেকদিন ভারতের বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার জন্য এই ল্যান্ড পোর্টকে ব্যবহার করেন। কম খরচে এই পোর্টকে ব্যবহার করে বাংলাদেশী নাগরিকেরা আগরতলা বিমান বন্দরের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন হাসপাতাল গুলির পরিষেবা নিয়ে থাকে।

আগামী দিনে এই ল্যান্ড পোর্টের সৌন্দর্যায়ন এবং যাত্রীদের জন্য ক্যাফেটেরিয়া সহ বহুমুখী পরিষেবা এবং বিনোদন ব্যবস্থার উন্নয়নের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র। গত ১০ বছরের ন্যায় আগামী দিনগুলিতেও ল্যান্ড পোর্টের প্রতি কর্মকাণ্ড, দুই দেশের নাগরিকদের সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে আত্মিক যোগাযোগ এবং মৈত্রী বন্ধনে দৃঢ়তা আসবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মেয়র।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য