স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ আগস্ট : আদালতের নোটিশ পেয়ে হাজির সি আই টি ইউ -র আট নেতৃত্ব। এদিন জামিন পেয়ে যান সি আই টি ইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে। তীব্র সমালোচনা করেন বামপন্থী নেতৃত্বরা। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সি আই টি ইউ রাজ্য কমিটির আহবানে প্যারাডাইস চৌমুহনীতে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি করা হয়েছিল।
তখন আগরতলা শহরে কোভিডের জন্য ১৪৪ ধারা লাগু ছিল। কিন্তু ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করায় সি আই টি ইউ নেতৃবৃন্দদের বিরুদ্ধে মামলা হাতে নিয়ে পশ্চিম থানার পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছেন সি আই টি ইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে, সাধারণ সম্পাদক শংকর প্রসাদ দত্ত, পবিত্র কর সহ ৮ জন নেতৃত্ব। সি আই টি ইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে ছাড়া বাকী ৭ জন অভিযুক্ত নেতৃত্ব আগে জামিন নিয়েছিল আদালত থেকে। বৃহস্পতিবার জামিন পেয়েছেন সি আই টি ইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে। কিন্তু জনগণের কথা বলতে গিয়ে বিরোধী নেতৃত্বদের আদালতে হাজির হতে হয়েছে বলে জানান আইনজীবী ভাস্কর দেববর্মা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মানিক দে জানান এক স্বৈরাচারী শাসন চলছে ত্রিপুরায়। যারা মূল্যবৃদ্ধি করে তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় না।
আর যারা প্রতিবাদে সামিল হয় তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এর তীব্র নিন্দা জানায় সি আই টি ইউ। তিনি বলেন সেদিন আইন মেনে আন্দোলন কর্মসূচি সংঘটিত করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবাদ করায় প্রতিহিংসামূলক আইনি বেড়াজালে ফেলতে এই মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। সারাদেশে স্বৈরাচারী রাজত্ব মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার শেষ করে দিয়েছে। কিন্তু প্রতিবাদ করার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত। সেই অধিকার আজ হারিয়ে ফেলতে হয়েছে বিজেপি সরকারের জামানায়। কিন্তু আগামী দিনে এই সরকারকে যোগ্য জবাব দিতে মানুষ প্রস্তুত রয়েছে বলে আশা ব্যক্ত করেন শ্রী দে। এদিন সি আই টি ইউ সাতজন নেতৃত্ব আদালতে হাজির হন। এবং জামিন নেন সি আই টি ইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে।