স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩ আগস্ট: এই তরুণ সাঁতারুর তুলনা শুরু হয়েছে দুই কিংবদন্তি ফেলপস ও মার্ক স্পিৎজের সঙ্গেও।প্যারিসের লা দিফঁসা অ্যারেনায় ২০০ মিটার ইনডিভিজ্যুয়াল মিডলের সোনা মাহঁশঁ জিতেছেন ১ মিনিট ৫৪ দশমিক ০৬ সেকেন্ডে সাঁতার শেষ করে। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকসে ফেলপসের গড়া ১ মিনিট ৫৪ দশমিক ২৩ সেকেন্ডের রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন ফ্রান্সের এই ২২ বছর বয়সী সাঁতারু।
এই ইভেন্টের বিশ্ব রেকর্ডও ভাঙার খুব কাছাকাছি ছিলেন মাহঁশঁ। ২০১১ সালে শাংহাইয়ে ১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রায়ান লোশটের গড়া রেকর্ড অটুট থাকল এ যাত্রায়ও।চলতি আসরে এর আগে ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক, ২০০ মিটার বাটারফ্লাই ও ৪০০ মিটার ইনডিভিজ্যুয়াল মিডলেতে সেরা হয়েছেন মাহঁশঁ।এক আসরে চারটি ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জয়ের কীর্তি এতদিন ছিল কেবল অলিম্পিকসের রেকর্ড পদকজয়ী ফেলপস ও আরেক গ্রেট স্পিৎজের। ইতিহাসের পাতায় তাদের সঙ্গী হলেন মাহঁশঁ। দুই কিংবদন্তির সঙ্গে এই তরুণের তুলনাও তাই শুরু হয়ে গেছে।
প্রশংসা শুনতে কার না ভালো লাগে, তবে ফেলপস ও স্পিৎজের সঙ্গে তুলনায় মাহঁশেঁর মনে অন্যরকম রোমাঞ্চের লুকোচুরি। নিজের অর্জন তার কাছে যেন অবিশ্বাস্য ঠেকছে।“এটা পাগলামি। এই মানুষগুলো কিংবদন্তি, নিজেদের খেলায় তারা কিংবদন্তি। এই মানুষগুলোর সাথে তুলনা আমার কাছে স্রেফ পাগলাটে বিষয়। আমার মনে হয় না, এটা আমি এখন উপলব্ধি করতে পারব। হয়ত, কয়েকদিন পর বুঝতে পারব।”
ফেলপসের কোচ ছিলেন বব বোম্যান, এখন তিনি মাহঁশেঁর কোচ। তার মনে হচ্ছে, ফেলপসের সঙ্গে মাহঁশেঁ তুলনা যথাযথ।“মাইকেলের রেকর্ডের পাশে মাহঁশেঁর বসাটা প্রমাণ করে যে, সেও সেই বিরল মানুষদের একজন, যারা বেশি চাপের মুখে আরও ভালো পারফরম করে। অনেক গ্রেট সাঁতারু আছে, নিশ্চিতভাবেই মাহঁশঁ তাদের একজন।”প্যারিসে এই ইভেন্টে গ্রেট ব্রিটেনের ডানকান স্কট (১ মিনিট ৫৫ দশমিক ৩১) রুপা ও চীনের সুন ওয়াং (১ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড) ব্রোঞ্জ পেয়েছেন।