স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৭ ফেব্রুয়ারি : ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে প্রাণ হারাতে চলেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ! এমনটাই আশঙ্কা রাষ্ট্রসংঘের। উল্লেখ্য, কুর্সিতে বসেই খরচ কমাতে একগুচ্ছ মার্কিন অনুদানে কাঁচি চালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার মধ্যে অন্যতম হল এইডস আক্রান্তদের জন্য অনুদান। তাই রাষ্ট্রসংঘের আশঙ্কা, মার্কিন অনুদান বন্ধ হয়ে গেলে এইডস আক্রান্তদের মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির তরফে রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়। উল্লেখ্য, এই দপ্তরের শীর্ষে রয়েছেন মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্ক। ওই পোস্টে জানানো হয়, আমেরিকা সরকারের খরচে কাটছাঁট করতে বেশ কিছু অনুদান বন্ধ করা হচ্ছে। বিশ্বের নানা দেশে কোন প্রকল্পগুলি বন্ধ হবে, তার তালিকাও দেওয়া হয়েছে ওই পোস্টে। বাংলাদেশ-নেপালের মতো আরও নানা দেশের অনুদানও বন্ধ করে দিয়েছে মাস্কের দপ্তর। বিশ্বজুড়ে লিঙ্গসমতা, গণতন্ত্র, নারী ক্ষমতায়নের খাতে বরাদ্দেও কাঁচি চালানো হয়েছে।
কেবল মাস্কের দপ্তর নয়, ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বা USAID-এর অন্তর্গত একাধিক অনুদানও বন্ধ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ইজরায়েল এবং মিশর ছাড়া সমস্ত দেশে মার্কিন অনুদান আপাতত তিনমাসের জন্য পুরোপুরি বন্ধ। ট্রাম্পের এই ঘোষণাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাষ্ট্রসংঘের UNAID বিভাগ। সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উইনি বানিমা বলেন, বিরাট অঙ্কের মার্কিন অনুদান বন্ধ হয়ে গেলে বহু মানুষের মৃত্যু হবে।
পরিসংখ্যান বলছে, মার্কিন অনুদানের মাধ্যমে অন্তত ২ কোটি এইডস আক্রান্তের চিকিৎসা চলে গোটা বিশ্বে। ২ লক্ষ ৭০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীও এই অনুদানের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু উইনির আশঙ্কা, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে আগামী পাঁচ বছরে ৬ লক্ষ এইডস আক্রান্তের মৃত্যু হতে পারে। নতুন করে এইচআইভি বাসা বাঁধতে পারে ৯ লক্ষ মানুষের দেহে। যদিও ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, জীবনদায়ী চিকিৎসার অনুদান বন্ধ হবে না। কিন্তু আফ্রিকার একাধিক স্বাস্থ্যকর্মীর মতে, মার্কিন অনুদান বন্ধ হওয়ায় চিকিৎসা পরিষেবা থামিয়ে দিতে হয়েছে তাঁদের।