স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২০ এপ্রিল: ইরাকের সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্স (পিএমএফ) জানিয়েছে, রাজধানী বাগদাদের প্রায় ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে কালসো সামরিক ঘাঁটিতে তাদের একটি কমান্ড পোস্টে হামলা হয়েছে। পোস্টটিতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে দুইজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন। পিএমএফ জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। এ সময় বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে।এক বিবৃতিতে পিএমএফ বলেছে, “বিস্ফোরণে বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতির পাশপাশি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।”কালসো সামরিক ঘাঁটির নিকটবর্তী শহর হিলার এক হাসপাতালের দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, হামলায় পিএমএফের এক যোদ্ধা নিহত ও আরও ছয়জন আহত হয়েছে।
বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে পিএমএফ জানিয়েছে। বাহিনীটির দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিমান হামলাটির জন্য কারা দায়ী তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইরাকে মার্কিন সামরিক বাহিনী কোনো তৎপরতা চালায়নি আর তারা এ হামলার সঙ্গে জড়িত নয়।সামাজিক মাধ্যমে মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, “আজ (শুক্রবার) ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা চালিয়েছে, প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর এমন দাবির বিষয়ে আমরা সজাগ আছি। এসব প্রতিবেদন সত্য নয়। আজ (শুক্রবার) ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা চালায়নি।”বিস্ফোরণে সামরিক উপকরণ, অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। অনামা এক সামরিক কর্মকর্তা ওই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “অস্ত্র গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে।”
শেষ খবর পর্যন্ত কোনো পক্ষ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলা তীব্র উত্তেজনার মধ্যে এ হামলার ঘটনাটি ঘটল।শুক্রবার ইরানি ভূখণ্ডে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গত শনিবার ইরান ইসরায়েল তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনযোগে হামলা চালানোর কয়েকদিনের মধ্যে এ পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।ইরাকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মূলত শিয়া যুবকদের নিয়ে বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী গড়ে তোলা হয়েছিল। আইএসকে পরাজিত করার পর এসব গোষ্ঠীর সমন্বয়ে পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্স (পিএমএফ) গঠন করা হয়। পরে পিএমএফ ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর অংশ হিসেবে স্বীকৃত হয়। পিএমএফের অংশীভূত বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী ইরানপন্থি। গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় ইসরায়েল আক্রমণ শুরু করার পর এসব গোষ্ঠী ইরাকে মার্কিন বাহিনীর অবস্থানগুলোতে রকেট ও ড্রোন হামলা শুরু করেছিল, কিন্তু ফেব্রুয়ারির প্রথম দিক থেকে হামলা বন্ধ রাখে তারা।